রাজধানীর বংশালে রিকশাওয়ালাকে নির্যাতন করে কারাগারে যাওয়া সেই সুলতান আহমেদ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর (সিএমএম) হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় সুলতানের জামিনের আদেশ দেন।
রোববার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সুলতান আহমেদের পক্ষে জামিন আবেদন করে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান বাদল। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করি আমরা। এরপর আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনানি শেষে তার জামিনের আদেশ দেন।’
৪ মে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওলিংক পাঠান একজন সংবাদকর্মী।
ভিডিওতে দেখা যায়, ৪ মে দুপুর দেড়টার দিকে বংশালে একজন রিকশাওয়ালার নাকেমুখে চড় থাপ্পড় মারছেন এবং গালিগালাজ করছেন সুলতান আহমেদ নামের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।
নির্যাতনের একপর্যায়ে রিকশাওয়ালা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও মূর্ছা যান। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় পরে সুলতানকে গ্রেপ্তার করে বংশাল থানা-পুলিশ।
৫ মে সুলতান আহমেদের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তিন দফায় তার জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত।
গত ১৯ মে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু রিকশাচালক আব্দুল হামিদ ওই দিনই সুলতানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় তার জামিন আটকে যায়।
পরদিন রিকশাচালকের করা মামলায় সুলতানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
আবার একই বিষয়ে ভার্চুয়াল আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী শুনানি করে তার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে তিনি মুক্তি পান।