ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে যার বিরুদ্ধে, সেই দপ্তরির পরিবার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে অভিযুক্তের চাচা মো. ফেরদৌস বলেন, গফরগাঁও উপজেলার বারইহাটি সরকারি বিদ্যালয়ের দপ্তরি রাকিব খান ও প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই-বোন। নিলুফাকে মারধরের ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি দাবি করেন, রাকিবের বাবা আলাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর থেকে তার সম্পত্তিতে চোখ পড়ে নিলুফার। সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বিষয়টি স্থানীয়রাও জানেন।
এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে স্কুল বন্ধ করে আসার দুই ঘণ্টা পর রাকিব ও নিলুফার মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এই ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রচার করেন নিলুফা। তিনি বলেন, স্কুল পরিষ্কার করার কথা বলায় রেগে রাকিব তাকে মারপিট করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দপ্তরির পরিবার অভিযোগ করে বলে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিলুফার পরিকল্পনায় রাকিব খান ও তার বড় ভাই নাদিম খানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রাকিবকে গ্রেপ্তার এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না করেই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তের ভাই নাদিম খান বলেন, ‘নিলুফার বাবা হাফিজ উদ্দিন মাস্টারের গাছ আমার ঘরের ওপরে পড়েছিল। এ ঘটনা থেকেই নিলুফার সঙ্গে তাদের বিরোধ দেখা দেয়।
এসব অভিযোগের বিষয় জানতে নিলুফার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেন। পরে লাইন কেটে দেন এবং তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ দেখায়।
পাগলা থানার বারইহাটি বটতলা এলাকা থেকে এর আগে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে দপ্তরি রাকিবকে আটক করে পুলিশ।