সাভারের আশুলিয়ার বিশমাইলে চলন্ত বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালক আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাকি পাঁচ আসামির তিন দিনের রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেছেন ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাহাজাদী তাহমিদা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম শনিবার বিকেলে নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সকালে চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই ছয়জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হয়।
আদালতে বাসচালক ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ও বাকিদের তিন দিনের রিমান্ডে দেন।
এর আগে হাইওয়ে পুলিশের বরাত দিয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রশিদ জানান, নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ওই তরুণী। ছুটির দিন শুক্রবার সকালে চাষাঢ়া থেকে মানিকগঞ্জে বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি।
বিকেলে ফেরার পথে নবীনগরে দেখা হয় পূর্বপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে। পরে তারা একসঙ্গে নবীনগর থেকে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য নিউ গ্রাম বাংলা পরিবহনের একটি মিনিবাসে ওঠেন।
মিনিবাসটি উত্তরার আব্দুল্লাহপুর পৌঁছানোর কিছু আগে সব যাত্রী নেমে যান। এরপর বাসে ওঠেন চার যুবক। চলন্ত অবস্থায় বাসচালক, হেলপার ও চার যুবক সঙ্গে থাকা ছেলেটিকে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ করেন।