বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই দপ্তরি গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৮ মে, ২০২১ ১৬:৩৭

প্রধান শিক্ষিকার বরাত দিয়ে ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাসাইমেন্ট দিচ্ছেন ও সংগ্রহ করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ কাজে ব্যস্ত ছিলেন নিলুফা খানমসহ বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বেলা ২টার দিকে দপ্তরি রকিব স্কুলে এলে তাকে বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে বলেন নিলুফা। এতে রকিব কিছুটা ক্ষিপ্ত হলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষিকাকে কিল-ঘুষি দিয়ে লাঞ্ছিত করেন রাকিব।

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানমকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দপ্তরি মো.রকিব খানকে আটক করেছে পুলিশ। পরে প্রধান শিক্ষিকার করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

উপজেলার পাগলা থানার বারইহাটি বটতলা এলাকা থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান।

তিনি বলেন, মারধরের ঘটনায় আটক রকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষিক নিলুফা খানম বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মামলা করেছেন। শনিবার তাকে আদালতে উপস্থিত করা হবে।

নিলুফা খানম গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার ১৫৬ নম্বর বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এবং রকিব একই স্কুলের দপ্তরি।

প্রধান শিক্ষিকার বরাত দিয়ে ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছেন ও সংগ্রহ করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ কাজে ব্যস্ত ছিলেন নিলুফা খানমসহ বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বেলা ২টার দিকে দপ্তরি রকিব স্কুলে এলে তাকে বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে বলেন নিলুফা। এতে রকিব কিছুটা ক্ষিপ্ত হলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষিকাকে কিল-ঘুষি দিয়ে লাঞ্ছিত করেন রাকিব।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ স্কুল পরিদর্শন করে। প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানান এবং তারা আলোচনায় বসেন।

এ বিষয়ে গফরগাঁও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সবুজ মিয়া বলেন, ‘ঘটনা জানার পর আমি স্কুল পরিদর্শন করেছি। দপ্তরি প্রধান শিক্ষিকাকে কিল-ঘুষি দিয়েছেন বলে শুনেছি। প্রধান শিক্ষিকা ও দপ্তরি সম্পর্কে চাচাতো ভাইবোন। এ ঘটনায় অন্য কোনো কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর