রংপুরের মিঠাপুকুরে বালুয়া মাসুমপুর গ্রামে দশ বছরের এক কন্যাশিশু নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে খুঁজছিলেন স্থানীয়রা। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী রাজা মিয়া। পরেই তার ঘরের মেঝে খুঁড়েই পাওয়া যায় শিশুটির লাশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধর্ষণের পর হত্যা করে শিশুটিকে মাটি চাপা দিয়েছিলেন রাজা।
অভিযুক্ত রাজা মিয়া পলাতক থাকলেও তার নানী হালিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিশুটির প্রতিবেশী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির জন্য আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। ধানক্ষেত থেকে ভুট্টাক্ষেত সব জায়গায় খুঁজি। আমাদের সঙ্গে এসময় রাজা মিয়াও ছিল।
‘সে রাত দশটা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছিল। আমরা যখন ওকে সন্দেহ শুরু করি, তখন রাতে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।’
ওবায়দুল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আমরা প্রতিটি বাড়িতে খুঁজতে থাকি। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওর ঘরে গিয়ে দেখি বিছানার নিচে নরম মাটি। আমাদের সন্দেহ হলে খুঁড়তে থাকি। একপর্যায়ে একটি লুঙ্গিতে মোড়ানো অবস্থায় শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।’
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুজ্জামান বলেন, ‘শিশুটি বুধবার সন্ধ্যায় তার মায়ের কাছ থেকে দশ টাকা নেয় চিপস খাওয়ার জন্য। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি।
‘বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী রাজা মিয়ার ঘরে মাটি খুঁড়ে শিশুটির লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। আমাদের জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।’
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পুরো বিষয়টি জানা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এখনও মামলা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।’