মানিকগঞ্জে ছয় বছর বয়সী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ বছর বয়সী কিশোর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বুধবার মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতের বিচারক পারভেজ রাসেলের আদালতে এই জবানবন্দি দেয় ওই কিশোর। পরে তাকে টঙ্গী শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ ভাস্কর সাহা এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবারই জেলা পুলিশের এক প্রেস বিফিংয়ে জানানো হয়, প্রতিবেশী কিশোর গত শুক্রবার বিকেলে খেলাধুলার কথা বলে বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে এক কাঠ বাগানে নিয়ে যায় শিশুটিকে। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করে বাড়িতে ধর্ষণের কথা বলে দেয়ার কথা বললে ওই কিশোর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে।
হত্যার পরে তার কানের দুল ও রুপার চেইন নিয়ে যায় এবং বাগানের একটি মেহগনি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরদিন শনিবার সকালে বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শনিবারই শিশুটির নানা বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে আসামি করে মামলা করেন। ময়নাতদন্তে তাকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত করে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ ভাস্কর সাহা বলেন, মামলায় ওই কিশোরকে মঙ্গলবার তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাকে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে নেয়া হয়। বিচারকের কাছে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে ওই কিশোর। জবানবন্দির পরে বিচারক তাকে টঙ্গী শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।