রাজধানীর পল্লবীতে সাত বছরের ছেলের সামনে সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত এজাহার নামীয় ছয়জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত চারজনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া ডিবি ও র্যাবের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে এই মামলার দুই আসামি নিহত হয়েছে।
এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল, সুমন ব্যপারী, মো. টিটু, মো. দিপু, বাইট্টে বাবু ও মো. মুরাদ।
এছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রকি তালুকদার, নুর মোহাম্মদ হাসান, মো. ইকবাল ও মো. শরীফ।
এছাড়া র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. মানিক এবং পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. মনির নামে মামলার দুই আসামী নিহত হয়েছেন।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, সাবেক এমপি আউয়ালের আলীনগর প্রজেক্টের কার্যক্রম (বাউন্ডারি গেইট ও পিলার) পরিচালনার সময় ভিকটিম সাহিনুদ্দীনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সাহিনুদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুমনকে নির্দেশ দেন আউয়াল। আউয়ালের নির্দেশনা মোতাবেক সুমনের নেতৃত্বে পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করার জন্যে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত ১৬ মে বিকাল ৪টায় সন্ত্রাসীরা জায়গা-জমির বিরোধের বিষয়ে মীমাংসার কথা বলে ভিকটিম সাহীনুদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি ব্লকের একটি গ্যারেজের ভিতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। প্রকাশ্য দিবালোকে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডে ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা হয়।