বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবুলের ‘প্রেমিকার’ তথ্য চেয়ে ইউএনএইচসিআরকে চিঠি

  •    
  • ২৫ মে, ২০২১ ১৪:৪০

পিবিআই কর্মকর্তা জানান, মিতু হত্যা মামলার এজাহারে ওই নারীর তথ্য রয়েছে। এজন্য ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের প্রধান বরাবর গত রোববার একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে ওই নারীর বর্তমান অবস্থানসহ একাধিক বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে আলোচিত মিতু হত্যার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আকতারের কথিত প্রেমিকার বিষয়ে জানতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনএইচসিআর) চিঠি দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা নিউজবাংলাকে বলেন, মামলার এজাহারে ওই নারীর তথ্য রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। এজন্য ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের প্রধান বরাবর গত রোববার একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে ওই নারীর বর্তমান অবস্থানসহ একাধিক বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে।

এর আগে বাবলুকে দেয়া ওই নারীর দুইটি বই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠাতে আবেদন করার কথা জানিয়েছে পিবিআই।

পিবিআই পরিদর্শক সোমবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বই দুইটি আমরা জব্দ করেছি। বইগুলোতে কিছু লিখিত বিষয় রয়েছে। যেগুলো পরকীয়ার সম্পর্ক নির্দেশ করে। মামলার তদন্তের স্বার্থে বই দুইটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। এজন্য আদালতের অনুমতি লাগবে। আমরা শিগগিরই পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করব।’

বই দুটি ভারতীয় ওই নারী উপহার হিসেবে বাবুলকে দিয়েছে বলে মিতু হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী ও মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

বইগুলো হচ্ছে- আহমেদ রশিদ রচিত ‘তালিবান’ এবং জেফারি আরচারের ‘বেস্ট কেপেট সিক্রেট’।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকার সময় ২০১৩ সালে ইউএনসিসিআরের কর্মীর সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বাবুল । এই নিয়ে মিতুর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় বাবুলের। কলহের সময় মিতুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন বাবুল।

এরই মধ্যে ২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত সুদানে জাতিসংঘ শান্তিমিশনে ছিলেন বাবুল। এই সময় বাবুলের মোবাইল ফোনটি চট্টগ্রামের বাসায় ছিল। ওই মোবাইল ফোনে মোট ২৯ বার ম্যাসেজ দেন তার কথিত প্রেমিকা।

উপহার দেয়া একটির বইয়ের তৃতীয় পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে ‘05/10/13, Coxs Bazar, Bangladesh. Hope the memory of me offering you this personal gift. shall eternalize our wonderful bond, love you..’ শেষ পৃষ্ঠায় বাবুল আকতার নিজের হাতে ইংরেজিতে তার কথিত প্রেমিকার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা লেখেন।

তিনি লিখেছেন (বাবুল) ‘First Meet : 11 Sep, 2013, First Beach walk 8th Oct 2013, G Birth day 10 October, First kissed 05 October 2013, Temple Ramu Prayed together, 13 October 2013, Ramu Rubber Garden Chakaria night beach walk.’

এজহারে উল্লেখ করে আরও লিখেন, এই সম্পর্কের কারণে বাবুল-মিতুর দাম্পত্য অশান্তি চরমে পৌঁছে। বাবুলের এসব কর্মকাণ্ডে মিতু প্রতিবাদ করলে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।

বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী মিতুকে হত্যার অভিযোগে বাবুলের বিরুদ্ধে গত ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই বাবুলকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে।

ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করে আসছিলেন।

শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর