বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা নেগেটিভ রোজিনার, নেয়া হলো সাধারণ শয্যায়

  •    
  • ২৪ মে, ২০২১ ১২:২৯

রোজিনার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু সোমবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাল (রোববার) রাতেই (রোজিনা) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, জানতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলাফল নেগেটিভ আসায় সকালে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সাধারণ শয্যায় নেয়া হয়েছে।’

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।

আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সোমবার সকালে তাকে সাধারণ শয্যায় নেওয়া হয়েছে।

দণ্ডবিধির ‍দুটি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের দুটি ধারায় করা মামলায় রোববার জামিনে মুক্তি পান রোজিনা ইসলাম।

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে বিকেল ৪টার পর মুক্তি পাওয়া রোজিনাকে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে ভর্তি করা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে।

রোজিনার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু সোমবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাল (রোববার) রাতেই (রোজিনা) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, জানতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলাফল নেগেটিভ আসায় সকালে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সাধারণ শয্যায় নেয়া হয়েছে।’

রোজিনা ইসলামের সিটি স্ক্যানসহ অন্যান্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তিনি বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক রাসেল রাব্বির অধীনে রয়েছেন।

চিকিৎসক বলছেন, তার রক্তে শর্করা একটু বেড়ে গেছে। অন্য রিপোর্টগুলোর ফল দুই-এক দিনের মধ্যে হাতে আসবে। তখন হয়তো বলা যাবে তার স্বাস্থ্যের কী অবস্থা।

রোজিনাকে রোববার বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল বাকি।

আদালতে জামিন শুনানির সময় রোজিনা যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সে অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

এমন অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রোজিনাকে পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে জামিন দেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রোজিনার পাসপোর্ট আদালতে জমা দেন তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু।

এর আগে ২০ মে ভার্চুয়াল জামিন শুনানি শেষে রোজিনার জামিন বিষয়ে আদেশ দেয়ার তারিখ রোববার নির্ধারণ করেছিলেন সিএমএম হাকিম মোহাম্মদ জসীম।

রোজিনা ইসলাম ১৭ মে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন সেখানকার কর্মকর্তারা। রাতে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির অভিযোগে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।

মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, এই গণমাধ্যমকর্মী রাষ্ট্রীয় কিছু গোপন নথি সরিয়েছেন; কিছু নথির ছবি তুলেছেন। এগুলো প্রকাশ হলে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারত। নথিগুলো ছিল টিকা ক্রয়-সংক্রান্ত।

অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের টিকা ক্রয়-সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। এর খসড়া সমঝোতা স্মারক ও নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট প্রণয়নকাজ চলছে। সমঝোতা স্মারক নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত পত্র ও ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত।

১৮ মে রোজিনাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় রোজিনাকে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে পেতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক মোহাম্মদ জসীম।

জামিন আবেদন করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এই আবেদন আংশিক শুনানি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২০ মে দিন রাখেন বিচারক। রোজিনাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে।

রোজিনার বিরুদ্ধে মামলায় সরকারি নথি সরানো ও ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুরু থেকেই রোজিনাকে মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল সাংবাদিক সংগঠনগুলো। সাংবাদিক নেতারা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাইছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর