বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারাবিধি অনুযায়ী বাবুল আকতারকে চিকিৎসার নির্দেশ

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ১৬:২২

আইনজীবী আরিফুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বাবুলের সুচিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করেছি। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা আদালতের নির্দেশ কারাগারে পৌঁছে দেব।’

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাবন্দি স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারকে কারাবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত রোববার বিকেল ৪টার দিকে এই আদেশ দেন।

আইনজীবী আরিফুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বাবুলের সুচিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করেছি। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা আদালতের নির্দেশ কারাগারে পৌঁছে দেব।’

হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গত বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করেন বাবুল। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে এ আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আরিফুর রহমান।

আরিফুর রহমান বলেন, ‘বাবুল নানা রোগে ভুগছেন। তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কারাগারে পর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা নেই। তাই আমরা কারাগারের বাইরে অন্য যেকোনো হাসপাতালে তার চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি।’

তিনি জানান, বাবুল আকতারের ফুসফুসে সমস্যা আছে। অনিয়মিত রক্তচাপে ভুগছেন। এ ছাড়া তার অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে।

শারীরিক সমস্যার কারণে বাবুল গত জানুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীর দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানান পুলিশের এই সাবেক কর্মকর্তার আইনজীবী।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী মিতুকে হত্যার অভিযোগে বাবুলের বিরুদ্ধে গত ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই বাবুলকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে।

ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করে আসছিলেন।

শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর