মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তরুণীর বস্তাবন্দি মরদেহের পরিচয় বের করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে মূল আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত তরুণীর নাম ডলি আক্তার। তার বাড়ি ঝিনাইদহ সদরের বর্ধনপুরে। তিনি সুদ কারবারি মাসুদ মিয়ার পঞ্চম স্ত্রী।
এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানার রামনগরে নিজ বাড়ি থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করে।
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার বেলা ২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার উদনাছড়া নদীর ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বস্তার গায়ে মো. অনিক, শ্রীমঙ্গল লেখা দেখে পুলিশ অনিক নামের এক ব্যবসায়ীর সন্ধান পায়। শহরের সাইফুর রহমান মার্কেটের পুরোনো কাপড় ব্যবসায়ী দুই ভাই অনিক ও জুয়েলের কাছ থেকে জানা যায়, গত সোমবার মাসুদ নামের একজন একটি বস্তা তাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছেন।
পুলিশ মাসুদ মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি হত্যার কথা স্বীকার করে জানান, সাত থেকে আট মাস আগে ডলির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এর আগেও তিনি চার বিয়ে করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন নারীর সঙ্গে তার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক আছে। এগুলো নিয়ে ডলির সঙ্গে তার কলহ হয়।
দাম্পত্য কলহের জেরে সোমবার রাত ৩টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি ডলিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। মরদেহ বস্তায় ভরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. বেলালের সহযোগিতায় এটি উদনাছড়ায় নিয়ে ব্রিজের উপর থেকে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মঙ্গলবার গভীর রাতে মামলা করেন। মামলায় মাসুদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।