ভারত থেকে খুলনায় এসে কোয়ারেন্টিনে থাকা তরুণীকে এএসআই মোকলেছুর রহমান ধর্ষণ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় মোকলেছুরকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোকলেছুর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। তিনি খুলনার পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গত ১ মে থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার বাড়ি যশোর সদরের দৌলদিহি এলাকায়।
কেএমপি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) মহিলা হোস্টেলে ভারতফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন মোকলেছুর রহমান। ডিউটিতে থাকাকালে এএসআই মোকলেছুর নিচতলা থেকে দ্বিতীয় তলায় কোয়ারেন্টিনে অবস্থানরত তরুণীর কক্ষে বিনা অনুমতিতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
‘শনিবার রাতে আবার কক্ষে ঢুকে ধর্ষণচেষ্টার সময় তরুণী চিৎকার করলে আসামি দ্রুত চলে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রাথমিক অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে সত্যতা মিললে মোকলেছুরকে বরখাস্ত করা হয়।’
তরুণী ধর্ষণ মামলায় এএসআই মোখলেছুর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, খুলনা সদর থানায় হওয়া ধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভারতে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর গত ২৬ এপ্রিল থেকে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতে গিয়ে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে ফিরতে পারছেন। এ ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে দেশে করতে হবে করোনা পরীক্ষা। নেগেটিভ হলেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪ দিন থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে।
খুলনার অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন নিউজবাংলাকে জানান, মোখলেছুরকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই তরুণীকে খুলনা মেডিক্যালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।