নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদকের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়ার মামলায় উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে সোমবার সকালে আত্রাই উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার সোয়েবের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা ১২ জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় মমতাজ বেগমকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতোই সোয়েব দুপুরের দিকে নিউমার্কেটে তার ঠিকাদারি অফিসে যান। একসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের ছেলে মির্জা রাব্বী দলবল নিয়ে এসে তার ওপর হামলা চালায়।
আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার ভোরে তাকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পপুলার হাসপাতালে নেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাকারিয়া হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, সোয়েবের দুই হাত ও বাম পায়ের অবস্থায় খুব খারাপ। প্রচুর রক্তপাত হয়েছে।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে জানান, মমতাজ বেগমরা সোয়েবের কাছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ঠিকাদারির ৬৫ লাখ ও ধারের ২ লাখ টাকা পান। ধারণা করা হচ্ছে, এই দেনাপাওনা সংক্রান্ত কারণেই সোয়েবের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মমতাজ বেগমকে থানায় নেয়া হয়। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, মামলার বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায়, মমতাজ ও তার ছেলের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া রাব্বীর বিরুদ্ধে ছিনতাই, সরকারি জায়গা দখলের পর স্থাপনা নির্মাণ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আছে।