‘বড় ভাই নির্দোষ। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে বেশকিছু বড় অপরাধী ধরতে পেরেছিলেন। তার সাফল্য তখন সারা দেশ জেনেছিল। যে কারণে আমরা মনে করি তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন।’
নিউজবাংলাকে ফোনে এসব কথা বলেছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আকতারের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।
তিনি বলেন, ‘ভাইয়ের পরকীয়ার বিষয়টি সত্য নয়। তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন সেটাও আমাদের জানা নেই। সত্য হলে আমরা জানতে পারতাম।’
তবে গত বুধবার মিতুর মা শাহিদা মোশাররফ নিউজবাংলাকে জানান, মিতু হত্যার পর আরও তিনটি বিয়ে করেন বাবুল আকতার। এর মধ্যে দুজনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, বর্তমানে একজনের সঙ্গে সংসার করছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মিতু মারা যাওয়ার আগে বাবুর (বাবুল আকতার) সঙ্গে ভারতের এক নারীর সম্পর্ক ছিল। মিতু কৌশলে সেটা জেনে যায়। শুধু ওই নারী নয়, আরও কয়েকজনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। যাদের মধ্যে দুইজনকে নিয়ে মিতুর মৃত্যুর পর তিনি সংসার করেছেন। আরেকটি বিয়ে করেছেন পারিবারিকভাবে।’
তবে বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু বলেন, ‘এক বছর আগে তিনি (বাবুল আকতার) বিয়ে করেন কুমিল্লায়। শুধু ছোট দুইটা বাচ্চা মানুষ করার জন্য তার বিয়ে করা। সন্তানেরা তার সেই মায়ের কাছে আছে বলে আমরা জানি। তবে কোথায় আছেন আমরা জানি না।’
স্ত্রী মিতু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতারের বাড়ি মাগুরা জেলা শহরের কাউন্সিল পাড়ায়। আল আমীন নামে বেসরকারি স্কুলের সামনেই চারতলা সাদা বাড়িটি বাবুলদের।
ভবনের দ্বিতীয় তলায় পূর্ব দিকে থাকেন সাবেক এই এসপির বাবা ও ছোট ভাই। বাবুল আকতার গ্রেপ্তার হওয়ার পর একাধিকবার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ভাড়াটিয়ারা বলছেন, তারা ঈদে বাইরে ঘুরতে গেছেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, ১১ মে বাবুল আকতার গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই বাড়িতে পরিবারের কাউকে তারা দেখেননি।
বাবুল আকতার শেষ কবে মাগুরা এসেছিলেন তাও বলতে পারেননি প্রতিবেশীরা। তবে তিনি পুলিশের চাকরি হারানোর পর বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন। তখন ছুটি পেলেই তিনি বাড়িতে আসতেন।
এক প্রতিবেশী জানান, বাবুল আকতারের বাবা এখানে থাকেন না। শুনেছেন, তিনি তাদের আদি বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুরে থাকেন। তার আইনজীবী ভাই নিজের পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করেন। অপর এক ভাই এবং বোন দুই জনই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।