হাটহাজারীতে হেফাজতের সহিংসতায় প্ররোচনা ও ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামের নেতা ও সাতকানিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শাহরিয়ার ইকবালের আদালত শনিবার দুপুরে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) হুমায়ন কবির বলেন, শাহজাহানকে ৭ দিনের রিমান্ড নেয়ার আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত পাঠিয়েছে তিনদিনের রিমান্ডে। তাকে হাটহাজারী থানায় হওয়া তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সাতকানিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছমদর পাড়া থেকে শুক্রবার রাত ২টার দিকে শাহজাহানকে আটক করা হয়।
শাহজাহান চৌধুরী ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে সাতকানিয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
গত ২৬ মার্চ হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা স্থানীয় ডাক বাংলো, এসি ল্যান্ড অফিসের পাশাপাশি হামলা চালায় থানায়
১৯৯১ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর তাকে দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির করা হয়। তখন থেকে পরবর্তী চারদলীয় জোট সরকারের আমল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ১৮টি মামলা জোট সরকার আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি নাশকতা ও হত্যা মামলা বিচারাধীন বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে সক্রিয় হেফাজত কর্মীরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
এই সংঘর্ষ চলার সময় হেফাজতের সদরদপ্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে সরকারি ডাকবাংলো, এসিল্যান্ড অফিসের পর থানায় হামলা করে হেফাজতকর্মীরা। তখন পুলিশ গুলি চালালে চারজন হেফাজতকর্মী নিহত হন।
সেদিনের সেই ঘটনার পর দেশের আরও নানা এলাকায় সহিংস হয়ে ওঠে হেফাজত। হাটহাজারীতে মাদ্রাসার পাশে চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি সড়কে ইটের দেয়াল তুলে দুই দিন তা অবরোধ করে রাখে ছাত্ররা। হামলা হয় ট্রেনে।