শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মার চরে জন্ম নেয়া সেই শিশু পদ্মা বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া প্রাইভেট কারে সোমবার বিকেলে তারা বাড়ি ফেরে।
গ্রামে পৌঁছানোর পর নবজাতক মারিয়ম আক্তার পদ্মাকে দেখতে অনেকেই তাদের বাড়িতে ভিড় করেন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মা ও নবজাতকের সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া ব্যক্তিগত অর্থে পদ্মার জন্য গাড়ি ভাড়া করে দেন। দুপুর একটার দিকে রওনা দিয়ে তারা বিকেল পাঁচটার দিকে বড়গুনার আমতলীতে পৌঁছান। সেখানে পদ্মার নানাবাড়ি।
পদ্মার বাবা মো. নাহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওইহানকার মানুষের কাছে আমরা কিতগ্য (কৃতজ্ঞ)। ওই চরের লোকজনের কথা ভোলবো না। হেরা অনেক ভালো মানুষ।
- আরও পড়ুন: পদ্মার চরে জন্ম ‘পদ্মার’
‘ইউএনও ছার আর ডাক্তার ছার আমাগো খুব যত্ন করছে। চিকিৎসা কইরাছে, পোশাক দিছে, খাওন দিছে আবার আহনের গাড়ি ভাড়া কইরা হেইডার ভাড়াও দিয়া দিছে। আহনের পর বাচ্চা আর তার মায়ের খোঁজখবর নিতাছে। আমার বাচ্চা পদ্মা ও স্ত্রী খুব ভালো আছে।’
ইউএনও আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘সোমবার সকালে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। উভয়ের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে চিকিৎসকরা জানান। এরপর তাদের বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বরগুনায় যেতে চায়। আমরা তাদেরকে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওখানকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাকেও ওদের শারীরিক অবস্থা দেখাশোনার কথা বলে দিয়েছি। আমরা খোঁজখবর রাখছি। পদ্মা ও তার মা সুমা আক্তার বাড়িতে ফিরে ভালোই আছেন।’
এর আগে গত রোববার ট্রলারে বরগুনা যাওয়ার পথে শরীয়তপুরের পাইনপাড়া চরে নামিয়ে দেয়া হয় মো. নাহিদ ও তার স্ত্রী সুমা আক্তারকে। চরের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা হাঁটার পর প্রসব বেদনা উঠলে সুমাকে চরের একটি বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানেই সন্তান প্রসব করেন তিনি।
স্থানীয়রা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে নৌ অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে তাদের জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। দেয়া হয় নতুন পোশাক ও খাবার। জেলা প্রশাসক শিশুটির নাম দেন পদ্মা।