মার খাওয়ার তিন দিন পর ঠিকাদারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির কথা জানিয়েছেন বরগুনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সেই প্রকৌশলী।
বরগুনা প্রেসক্লাবে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ঠিকাদার ফরহাদ জোমাদ্দার ও সদর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান নিজেদের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টি জানান।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সামনে ঠিকাদার ফরহাদের মারধরের শিকার হন প্রকৌশলী মিজানুর। এ ঘটনা নিয়ে নিউজবাংলায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঠিকাদার ফরহাদ জানান, তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তার সার্জারিও হয়েছে। ঘটনার দিন পারিবারিক একটা সমস্যা নিয়ে তিনি বিক্ষিপ্ত ছিলেন। এমন অবস্থায় প্রকৌশলী মিজানুরের সঙ্গে একটি কাজের জামানতের টাকার বিষয়ে তার কথা হয়।
তিনি জানান, প্রকৌশলী মিজানুর জামানতের টাকা দিতে দেরি হবে বলায় তিনি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। এতেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।
ফরহাদ বলেন, ‘প্রকৌশলী মহোদয়ের সঙ্গে আমার এমন আচরণ সম্পূর্ণরূপে ভুল হয়েছে। পরে আমি তার কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দেন এবং তাৎক্ষণিক দুইজনের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যায়। আমরা দুজনেই একসাথে আছি এবং আমাদের মধ্যে বর্তমানে কোনো প্রকার বিরোধ নেই।’
প্রকৌশলী মিজানুর বলেন, ‘আমরা একই এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি আমার বড়ভাই। তিনি আমার সঙ্গে যে রাগারাগি করেছেন এতে আমি অসন্তুষ্ট নই। আমাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা আমরা নিজেরাই মিটমাট করেছি।’
সমঝোতার বিষয়ে বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।