বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাল টাকা তৈরি: দুই ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন কারাগারে

  •    
  • ৬ মে, ২০২১ ২১:৫২

এই তিনজনকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। ওই তিনজন হলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমাম হোসেন ও পিয়াস করিম এবং জীবন হোসেন।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে ৪৬ লাখ টাকার জাল নোট ও নানা সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় দুজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজনকে রিমান্ড ফেরত কারাগারে আটকে রাখার আদেশ দিয়েছে আদালত।

ওই তিনজন হলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমাম হোসেন ও পিয়াস করিম এবং জীবন হোসেন।

এই তিনজনকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এর আগে আসামিপক্ষে মো. জসিমসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।

এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন কামরাঙ্গীরচর থানা-পুলিশ। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তাদের কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।

গত সোমবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ। এ সময় কামরাঙ্গীরচর থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তাদের প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় জাল টাকা ও টাকা তৈরির মিনি কারখানার সন্ধান পেয়ে ডিবি গুলশান জোনাল টিমের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে হাতেনাতে আটক করেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি ল্যাপটপ, দুটি প্রিন্টার, হিট মেশিন, বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন, ডাইস, জাল টাকার নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের কালি, আঁঠা এবং স্কেল কাটারসহ আরও অনেক সামগ্রী; যা দিয়ে কম করে হলেও আরও দেড় কোটি জাল টাকার নোট তৈরি করা সম্ভব ছিল।

এ ঘটনায় পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো পিয়াস ও ইমাম হোসেন বরিশাল পলিটেকনিক্যাল থেকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে তারা গ্রামীণফোনে নেটওয়ার্ক অ্যান্ড বৈদ্যুতিক পাওয়ার টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন।

ডিবির ভাষ্যমতে, বেশি টাকা পাওয়ার লোভে তারা বৈধ চাকরি ছেড়ে জাল টাকা তৈরির অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়েন। আসন্ন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে লক্ষ করে জাল টাকা তৈরি করার বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল তাদের।

চক্রটি প্রথম দিকে সাভারের গেন্ডা এলাকায় জাল টাকা তৈরি করত। ঈদকে কেন্দ্র করে তিন মাস ধরে তারা কামরাঙ্গীরচরে জাল টাকা তৈরির ব্যবসা শুরু করেন।

চক্রটির দলনেতা জীবন এর আগেও জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে একাধিকবার কারাগারে ছিলেন। জেল থেকে বেরিয়ে আবার তিনি জাল টাকা তৈরির কাজ শুরু করেন।

জীবনকে বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশ অনুসরণ করছিল। অবশেষে তিনি ধরা পড়েন। এ ঘটনায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর