মাদারীপুরের শিবচরে বাল্কহেডকে ধাক্কা দিয়ে স্পিডবোট ডুবে ২৬ প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের কমিটি।
তদন্তের প্রথম দিন বুধবার বেলা ১১টার দিকে কমিটির সদস্যরা কাঁঠালবাড়ী ঘাট পরিদর্শন করেছেন। সেখানে দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান মাদারীপুর স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক আজাহরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তদন্তকাজ শুরু করেছি। ঘটনার কারণ খুঁজে বের করব। আগামীতে যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য একটি সুপারিশ প্রণয়ন করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে আলাপ করে বুঝতে পারছি যে, স্পিডবোটটি প্রচণ্ড বেগে এসে ধাক্কা লেগেছে। নিহতদের প্রত্যেকেরই মাথায় আঘাত লেগেছিল।’
তিনি জানান, ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি স্পিডবোটচালকদের রেজিস্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করা হবে।
জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুনের নির্দেশে গঠিত এই কমিটিতে আরও আছেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন, শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন, শিবচর নৌপুলিশের পরিদর্শক শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক ও কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. আসমাদুল।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় সোমবার সকালে দাঁড়িয়ে থাকা বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই স্পিডবোট। সেখান থেকে একে একে উদ্ধার করা হয় শিশুসহ ২৫ জনের মরদেহ। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরও একজন। জীবিত উদ্ধার করা হয় স্পিডবোটের চালকসহ পাঁচজনকে।
এ ঘটনায় নৌপুলিশের এসআই লোকমান হোসেন শিবচর থানায় সোমবার গভীর রাতে বোটের মালিক-চালকসহ চারজনের নামে মামলা করেন।
আহত চালক শাহ আলমকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাকে মামলায় আটক দেখিয়েছে পুলিশ। বাকি আসামিরা পলাতক।
ঘটনায় তদন্তে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও একটি কমিটি গঠন করা হয়।