মাদারীপুরের শিবচরে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যাওয়া স্পিডবোটটির কোনো নিবন্ধন ছিল না। এর চালকের ছিল না দক্ষতার সার্টিফিকেট।
শিমুলিয়ার নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন সোমবার বিকেলে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
আহত চালক শাহ আলমকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাকে আটক দেখিয়েছে পুলিশ।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় সোমবার সকালে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী স্পিডবোট। এতে তিন শিশুসহ নিহত হন ২৬ জন।
দুর্ঘটনার পর স্পিডবোটের চালকসহ পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের ভর্তি করা হয় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চালক শাহ আলমকে নেয়া হয় ফরিদপুরের ওই হাসপাতালে।
শিমুলিয়ার নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘উল্টে যাওয়া স্পিডবোটটির নিবন্ধন ছিল না। চালকের যোগ্যতা সনদও নেই। এই নৌরুটের বেশির ভাগ নৌযানের একই অবস্থা।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ বলেন, স্পিডবোটটি যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে কাঁঠালবাড়ীর কাছাকাছি পৌঁছালে ঘাটে নোঙর করে রাখা বাল্কেহেডের পেছনে এর ধাক্কা লাগে।
ধারণা করা হচ্ছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোয় স্পিডবোটটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় নদীতে।
কাঁঠালবাড়ী নৌ পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাধারণত স্পিডবোটে ২০ জনের মতো যাত্রী ওঠে। এই স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল।’
লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশাপাশি নৌপথগুলোতে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারপরও যাত্রী নিয়ে নদীতে নামে ওই স্পিডবোট।
বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে মাওয়া নৌ ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবির দাবি করেন, স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি। লকডাউনের শুরু থেকে অসাধু একটি চক্র ঘাট এলাকাসংলগ্ন চর থেকে অবৈধভাবে যাত্রী তুলে চলাচল করছিল। সকালে ওই স্পিডবোটটি এমনই একটি চর থেকে ছেড়ে গেছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন জানান, নিহত ২৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।