উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুটি প্রশাসনিক ভবন ও সিনেট ভবনের মূল ফটকে দ্বিতীয় দিনের মতো তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতা-কর্মীরা।
গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় দুটি প্রশাসনিক ভবন ও সিনেট ভবনের ফটকে আন্দোলনরত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তালা লাগিয়ে দেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় উপাচার্য ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। উপাচার্যের বাসভবনের তালা খুলে দেয়া হলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা।
তারা জানান, উপাচার্য যেন তার মেয়াদের শেষ সময়ে এসে আর আবারও কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম করতে না পারেন এবং কোনো ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারেন, সে জন্য তারা এই কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করছি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৩-এর অ্যাক্ট সমুন্নত রাখতে যা ভঙ্গ করে বারবার আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন বর্তমান উপাচার্য। উপাচার্যের এই সব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি।’
ইলিয়াস হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এই সিন্ডিকেট সভা রুখে দিতে আমরা দাঁড়াবো। এরপর আমরা আবার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।'
রোববার সকালে উপাচার্যের বাসভবনে ফাইনান্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টায় উপাচার্য ভবনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে ফাইনান্স কমিটির সভা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা গত দিনের মতো আজও তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন। যদিও লকডাউনের কারণে প্রশাসনিক কিংবা সিনেট ভবনে অফিসিয়াল কোনো কাজ ছিল না, তবুও আমরা চেষ্টা করছি যাতে তারা তালা খুলে দেন।’