বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্পিডবোট ডুবে ২৬ প্রাণহানি তদন্তে কমিটি

  •    
  • ৩ মে, ২০২১ ১২:২০

মাদারীপুর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করে স্পিডবোটচালক যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে আসছিলেন। তবে মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবিরের দাবি, ঘাট থেকে নয়; কাছের চর থেকে যাত্রী তুলে যাচ্ছিল এটি।

মাদারীপুরের শিবচরে স্পিডবোট উল্টে ২৬ ব্যক্তির নিহত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) রহিমা খাতুন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সোমবার দুপুরে ডিসি বলেন, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ডিসি রহিমা আরও জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে। আহতদের চিকিৎসাতেও সহযোগিতা করা হবে

শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, স্পিডবোটটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কেউ নিখোঁজ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

মরদেহগুলো পাশের দোতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পরিচয় শনাক্তের প্রক্রিয়া চলবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল হান্নান।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাদারীপুর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করে স্পিডবোটচালক যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে আসছিলেন। তবে মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবিরের দাবি, ঘাট থেকে নয়, কাছের চর থেকে যাত্রী তুলে যাচ্ছিল এটি।

শিবচর থানার ওসি মিরাজ বলেন, স্পিডবোটটি যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে ঘাটে নোঙর করে রাখা বাল্কহেডের পেছনে এর ধাক্কা লাগে।

ধারণা করা হচ্ছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোয় স্পিডবোটটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় নদীতে।

কাঁঠালবাড়ী নৌ-পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে আমরা ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। কতজন বোটে ছিল, তা জানা যায়নি।

‘সাধারণত স্পিডবোটে ২০ জনের মতো যাত্রী ওঠে। এই স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। নদীতে আরও কেউ নিখোঁজ আছে কি না, তা জানতে উদ্ধারকাজ চলছে।’

হতাহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশাপাশি নৌপথগুলোতে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারপরও যাত্রী নিয়ে নদীতে নামে ওই স্পিডবোট।

বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবির দাবি করেন, স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি। লকডাউনের শুরু থেকে অসাধু একটি চক্র ঘাট এলাকাসংলগ্ন চর থেকে অবৈধভাবে যাত্রী তুলে চলাচল করছিল। সকালে ওই স্পিডবোটটি এমনই একটি চর থেকে ছেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে শিমুলিয়া ঘাটের একাধিক কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর