পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় হাজী মুসা ম্যানশন ভবনে পাঁচ বছর ধরেই অবৈধভাবে রাসায়নিক মজুদ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
ভবনটিতে আগুন লাগার তিন দিন পর সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘নিচতলায় ১৫ হাজার টাকায় দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ মোস্তফা নামে দুইজন। তারা চার থেকে পাঁচ বছর ধরে গোডাউনে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ মজুদ করেছিল। এ জাতীয় কেমিক্যাল মজুদের ব্যাপারে তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি ছিল না।’
গত বৃহস্পতিবার আরমানিটোলার ভবনটির আগুন পুরান ঢাকার নিমতলী চুরিহাট্টার আগুনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।
এই আগুনে এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। লাইফ সাপোর্টে আছেন আরও দুইজন। আহত আছেন আরও অন্তত ১৯ জন।
ওই রাতেই পুলিশ মামলা করে। আসামিরা হলেন ভবনের মালিক মোস্তফা আহম্মেদ এবং কেমিক্যাল গোডাউনের মালিকরা।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলন
র্যাব শুরু থেকে ছায়া তদন্ত করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে মামলার দুই নম্বর আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে রাজধানীর উত্তরা থেকে ও মোস্তফাকে বগুড়ার নন্দিগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ ও গোয়েন্দা বিভাগ।
এক প্রশ্নে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, মোস্তাফিজুর রহমান মঈন অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্ত্বাধিকারী এবং মোহাম্মদ মোস্তফা মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী।
ওই ভবনের দোতলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন মোস্তফা। আগুনের রাতে পরিস্থিতি বুঝে মোস্তফা গ্রিল কেটে পালিয়ে যান।
ভবনের মালিক মোস্তাক পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র্যাব মুখপাত্র। গ্রেপ্তার দুইজনকে পুলিশে দেয়া হবে এবং মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে তোলা হবে।