নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ এক নারীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
মৃত আলেয়া বেগম একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আলেয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ পোড়া ছিল। স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন।
তল্লার জামাই বাজার এলাকার তিনতলা একটি ভবনের তৃতীয় তলায় শুক্রবার ভোরে বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন পাশাপাশি দুই ফ্ল্যাটে থাকা দুই পরিবারের ১১ জন সদস্য।
দগ্ধদের মধ্যে শিশুসহ পাঁচজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঠানো হয়েছিল। অন্যদের নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান মেহেদী বলেন, ‘রাতে রান্নাঘরের গ্যাস লাইনের পাইপ থেকে গ্যাস বের হয়ে একটি ফ্ল্যাটে জমাট বেঁধে ছিল। ভোরে চুলায় আগুন জ্বালালে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিকভাবে আমরা এসব বিষয়ে জানতে পেরেছি।’
বিস্ফোরণের পর জেলা প্রশাসন ওই বাড়িটি সিলগালা করে দিয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি করেছে।
প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা জানান, বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ দাফনের জন্য সরকারিভাবে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করছে।