দুই দিনের রিমান্ড শেষে আবারও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে।
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, গত বুধবার জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শেখ নাজমুন নাহার ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে রফিকুলের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তাকে কারাগার থেকে পুলিশের হেফাজতে আনা হয়। রিমান্ড শেষে শনিবার রফিকুলকে আবার আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
ওসি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল অনেক তথ্য দিয়েছেন। এসব যাচাইবাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ১১ এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টেকনগর পাড়ার মোস্তাফিজুর রহমান এই মামলা করেন। মামলায় রফিকুলের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বক্তব্যের আড়ালে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ আনেন।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোণার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গত ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় রফিকুল ইসলামকে আটক করেছিল রমনা থানার পুলিশ। সেখানে তিনি মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন, আর এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেবেন না।
সে কথা না রাখার কারণ জানতে চাইলে রফিকুল র্যাবকে জানান, পুলিশের আটকের বিষয়টি তিনি ‘সিরিয়াসলি’ নেননি। ভেবেছিলেন, জনপ্রিয়তার কারণে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে না।