কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিন খুনের ঘটনায় এখনও মরদেহ হস্তান্তর হয়নি। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় মরদেহ পড়ে আছে হাসপাতালের মর্গেই। হয়নি কোনো মামলাও।
পুলিশ বলছে, আক্রমণ ও আত্মরক্ষা চেষ্টায় স্বামী, স্ত্রী, শ্যালিকা তিনজনই নিহত হওয়ায় অভিযোগ বা আটক করার মতো কেউ নেই।
ময়নাতদন্ত শেষে এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২-এর ডি-৭ ব্লকে শুক্রবার ইফতারের আগে তিন ব্যক্তি নিহত হন।
তারা হলেন নূর সালাম, তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও শ্যালিকা হালিমা খাতুন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ মঞ্জুর মোরশেদ নিউজবাংলাকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নেশা করে বাড়ি ফেরেন সালাম। এ নিয়ে স্ত্রী মরিয়মের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে সালাম দা দিয়ে মরিয়মকে এলোপাতাড়ি কোপান। তার চিৎকারে এগিয়ে আসেন হালিমা।
বড় বোনকে বাঁচাতে তিনি সালামকে হাতের কাঁচি দিয়ে আঘাত করেন। সালাম তাকে দা দিয়ে কোপ দেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলই মৃত্যু হয় সালাম ও মরিয়মের। গুরুতর অবস্থায় হালিমাকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।