বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৫০০ টাকার জন্যই শিশু সাজ্জাদকে হত্যা

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৪২

নাজমুলকে সারা রাত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে তিনি সাজ্জাদকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

ঢাকার সাভারে মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকার জন্য শিশু সাজ্জাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন এক প্রতিবেশী।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আট বছর বয়সী সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় তাদেরই বাসার ফলস ছাদ থেকে। সাজ্জাদের পরিবার থেকে অবশ্য ওই সময়ই নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে দুই প্রতিবেশী আল আমিন ও নাজমুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।

পরে আল আমিনকে ছেড়ে দিলেও নাজমুলকে সারা রাত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে তিনি সাজ্জাদকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে শুনানি শেষে নাজমুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামান।

নাজমুলের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানায়। তিনি ও তার স্ত্রী সাজ্জাদদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আশুলিয়ার বুড়ির বাজার এলাকায় আব্দুল মান্নানের ছয়তলা বাড়ির পঞ্চম তলায় সাজ্জাদ তার মা-বাবার সঙ্গে থাকত। বাবা ইউসুফ একটি ইলেকট্রনিক দোকানের কর্মচারী। মা খাদিজা বেগম পোশাক শ্রমিক। সাজ্জাদ স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত।‘

‘মা-বাবা কাজে গেলে বাসায় একাই থাকত সাজ্জাদ। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ থেকে ফিরে সাজ্জাদকে বাসায় পাননি মা। পরে বাথরুমের ওপর ফলস ছাদে তার মরদেহ পাওয়া যায়। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাজমুল ও আল আমিনকে থানা হেফাজতে আনা হয়। পরে নাজমুল শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দেন।‘

আসামি নাজমুল হকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সাজ্জাদের মায়ের কাছে কয়েক দিন আগে এক হাজার টাকা ধার চেয়েছিলেন নাজমুল। সেই টাকা তিনি পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে সাজ্জাদের সঙ্গে তাদের ফ্ল্যাটে লুডু খেলার সময় নাজমুল বাসায় টাকা আছে কিনা তা জানতে চান। সাজ্জাদ তোশকের নিচে টাকা আছে বললেও নাজমুলকে দিতে চায়নি। এ সময় নাজমুল টাকা বের করে নিলে দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কি লেগে যায়। এরই এক পর্যায়ে সাজ্জাদকে হত্যা করে মরদেহ লেপ দিয়ে মুড়ে বাথরুমের ওপর ফলস ছাদে রেখে বাসায় তালা দিয়ে বের হয়ে যান নজরুল।‘

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, শিশুকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকার জন্য ওই শিশুকে গলা টিপে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর