ভোলার চরফ্যাশনে একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা দগ্ধ ও খণ্ডিত দুটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ।
দেহ দুটি দুলাল দাস ও অমিত দাস নামের দুই ভাইয়ের। তাদের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নে।
পুলিশের ধারণা, জমি বিক্রির টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
আসলামপুর ইউনিয়নের সুন্দরী ব্রিজ এলাকার পরিত্যক্ত বাগান থেকে গত ৮ এপ্রিল গান পাউডার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ফেলা মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। দুই দেহের মাথা কাটা ছিল। কোমরের বেল্ট দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় এগুলো পুরুষ দেহ।
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুজ্জামান অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার আসলামপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ির মহিবুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দুটি কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হয়, এগুলো ১৪ দিন আগে উদ্ধার করা সেই দেহ দুটির বিচ্ছিন্ন মাথা। মাথা দুইটি ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হবে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরাজুল ইসলাম, আবু জাফর ওরফে জাফর ফরাজী ও তার স্ত্রী, আবুল কাশেম, হেলাল উদ্দিন, আলী আজগরসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রবাদ সাহা শুক্রবার সকালে জানান, দেহাবশেষের সঙ্গে থাকা সাইডব্যাগে পুড়ে যাওয়া মালামাল ও আটক সিরাজুল ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে দুলাল দাস ও অমিত দাসের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুলাল ও অমিত সপরিবারে ভারতে বসবাস করত। তারা চরফ্যাশন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৬ শতক জমি আবু জাফর ওরফে জাফর ফরাজীদের কাছে বিক্রি করেছে।