বাগেরহাটের মোল্লাহাটে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বের করা মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরও এক হেফাজত কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে শেরজন মোল্লা নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানায় র্যাব।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৬ জানায়, পুলিশের ওপর হেফাজত কর্মীদের হামলার ঘটনায় মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর একটি দল বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে উদয়পুর গ্রাম থেকে শেরজন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৯ এপ্রিল রাতে আরও দুই হেফাজত কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে ওইদিন বেলা ১১টার দিকে মিছিল বের করেন হেফাজতের অনুসারীরা।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বলেন, মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা মিছিল নিয়ে হাসপাতাল মোড়ে জড়ো হতে থাকেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এতে তিনিসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন।
তিনি ছাড়া আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই ঠাকুর দাস, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাহারুল, লিয়াকত, কনস্টেবল সোহাগ মিয়া, নাজমুল ফকির ও ডিএসবির কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ওই রাতেই ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে, অজ্ঞাতপরিচয় আরও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিনুর রহমান গোলদার। প্রধান আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের আত্মীয় আব্দুল্লাহ খন্দকারকে।