ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমীর হোসেন ১৫ বছর ধরে ব্যবসা করছেন যশোরের টাউল হল মাঠের পাশে জেলা পরিষদ মার্কেটে।
বুধবার রাতে কাপড়ের মার্কেটে আগুনে পুড়ে যাওয়া ১৫টি দোকানের মধ্যে একটি ছিল তার।
করোনার কারণে একবছর ধরে কোন আয় নেই তার। পরিবার নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কোনো রকমে দিন কাটাচ্ছিলেন। চেয়েছিলেন নতুন কিছু কাপড় কিনে তা ঈদের সময় বিক্রি করে অবস্থা পরিবর্তন করবেন। সেজন্য লোন করেছিলেন একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে।
মুহূর্তেই তার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ নিলো। আগুনে দোকানে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকার সব কাপড় পুড়ে যায়।
আমির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার দোকান পুড়ে ছাই। ঈদের জন্যে গত পরশু লোন করে মাল তুলেছিলাম; একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম।’
এখন কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। দুই সন্তান আর স্ত্রী নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।
ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি তারিক হাসান বিপুল বলেন, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে দোকানিরা নতুন কাপড় তুলেছিলেন। আগুনে পুড়ে তাদের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের যেন পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
যশোরের মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দানে (টাউন হল মাঠ) জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে বুধবার রাতে একটি কাপড়ের মার্কেটে আগুনে পুড়ে যায় ১৫টি দোকান। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।