বরিশালে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগের দুই দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ।
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ বুধবার গভীর রাতে মামলাটি নিয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার।
তিনি জানান, অভিযোগ থাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে সোমবার রাতে এয়ারপোর্ট থানায় মামলার আবেদন করেন এক তরুণী।
আবেদনে তরুণী জানান, ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাসায় ঢুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জসীম তাকে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জসীম তাকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়াতে থাকেন। একপর্যায়ে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করান।
ওই তরুণী আরও জানান, জসীম বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। তিনি (তরুণী) বিয়ের চাপ দিলে চলতি বছরের ৫ মার্চ জসীম তাকে দুই দিনের মধ্যে বিয়ের কথা জানান। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও বিয়ে করেন না। একসময় জানান, তিনি বিবাহিত এবং ওই তরুণীকে তার বিয়ে করা সম্ভব নয়। এরপর তিনি (তরুণী) মামলার সিদ্ধান্ত নেন।
ওই তরুণীর অভিযোগের পর জসীম উদ্দিন জানান, গত রোববার তার বিয়ে হয়েছে। অভিযোগকারী তার আত্মীয়। রাজনৈতিক কারণে ওই মেয়েকে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এদিকে জসীমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করেছে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ।