বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ময়মনসিংহের মামলাতেও রিমান্ডে ‘শিশুবক্তা’

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:০২

মামলার বাদী জানান, গত ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে নগরীর চড়পাড়া মোড়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর, বাসে আগুন এবং পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীরা। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রফিকুল।

বিতর্কিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার রিমান্ডে পাঠিয়েছে ময়মনসিংহের আদালত।

হেফাজতের ডাকা হরতালে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে ময়মনসিংহ নগরীর কোতোয়ালী থানায় হওয়া মামলায় তাকে একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

ভার্চুয়াল শুনানী শেষে বুধবার সকালে রফিকুলকে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল হাই

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক ইফতার শফিক।

তিনি জানান, গত ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে নগরীর চড়পাড়া মোড়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর, বাসে আগুন এবং পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীরা। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রফিকুল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। বিচারক তাকে একদিনের রিমান্ডে দিয়েছেন।

একই দিন নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এক মামলায় রফিকুলকে চার দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার বুধবার আসামি রফিকুল ইসলাম মাদানির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের ভার্চ্যুয়াল আদালত চার দিনের রিমান্ড আদেশ দেয়।

আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানি দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। তার এসব বক্তব্য দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করছে।

রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গত ৮ এপ্রিল রাত সাড়ে তিনটার দিকে মাদানিকে নেত্রকোণার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলাসহ কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে গাজীপুরে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৬ এপ্রিল দুই দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

খর্বকায় ও শিশুতোষ কণ্ঠের অধিকারী হওয়ায় মাদানীকে অনেকে ‘শিশুবক্তা’ বলে মনে করলেও তিনি নিজে দাবি করেছেন, তিনি মোটেও শিশু নন। তার বয়স ২৬ বছর।

গত ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় রফিকুল ইসলাম মাদানিকে আটক করেছিল রমনা থানার পুলিশ। সেখানে তিনি মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন, আর এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেবেন না।

সে কথা না রাখার কারণ জানতে চাইলে মাদানি র‌্যাবকে জানান, পুলিশের আটকের বিষয়টি তিনি ‘সিরিয়াসলি’ নেননি। ভেবেছিলেন, জনপ্রিয়তার কারণে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে না।

এ বিভাগের আরো খবর