নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধের জেরে সেখানে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
আব্দুল রউফ উপজেলার জাতীয় পার্টির সভাপতিও।
ওসি হাফিজুর জানান, পুলিশের করা দুইটি মামলায় আব্দুর রউফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে গিয়ে অবরুদ্ধ হন। সে সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ফেসবুকে লাইভ করলে তোলপাড় হয়।
মামুনুল সে সময় যেসব তথ্য দিয়েছেন, পরে তার বেশির ভাগের সত্যতা মেলেনি।
স্থানীয় লোকজনের জেরার মুখে সঙ্গীনিকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে বলেন তার নাম আমেনা তাইয়্যেবা। দাবি করেন, তার শ্বশুরের নাম জাহিদুল ইসলাম, শ্বশুরবাড়ি খুলনায়।
তবে সেই নারী পরে জানান তার নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা, বাবার নাম অলিয়র রহমান, গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়।
এই ঘটনার পরে ফাঁস হওয়া বিভিন্ন ফোনালাপে মামুনুলের বিয়ের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার চার সন্তানের জননী স্ত্রী ওই দিন সন্ধ্যায় ছেলেদের নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা ছেড়ে যান।
এসব ঘটনায় মামুনুল যখন বেকায়দায় তখন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা মসজিদে মাইকিং করে জড়ো হয়ে একযোগে হামলা করেন রিসোর্টে। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুরও করেন।
ক্ষমতাসীন দল ও তার সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় কার্যালয়েও হামলা হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় সেগুলো। হামলা হয় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িঘরে।
ওই ঘটনায় হেফাজত, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীসহ কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশ দুইটি ও ক্ষতিগ্রস্তরা পাঁচটি মামলা করেছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।