বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর; গ্রেপ্তার আতঙ্কে শ্রমিকরা

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:২৯

‘পুলিশ ধর-পাকড় করছে। অনেক শ্রমিক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আমরা জীবন-জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছি।’

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিহত পাঁচ শ্রমিকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার দুপুর ২টার দিকে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘শনিবার বাঁশখালীর ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহগুলো নোয়াখালী, চাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, কিশোরগঞ্জ এবং বাঁশখালীতে তাদরে নিজ নিজ বাড়িতে নেয়া হচ্ছে।’

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নামের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে শনিবার সকাল ১১টার দিকে শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলির ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন।

নিহত শ্রমিকরা হলেন আহমদ রেজা, রনি হোসেন, মো. শুভ, মো. রাহাত ও মো. রায়হান। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ও এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ শনিবার গভীর রাতে দুটি মামলা করেছে। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাশেদ দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। পাওয়ার প্লান্টের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ প্ল্যান্টে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

মরদেহ হস্তান্তরের আগে রোববার দুপুর ১২টার দিকে নিহত শ্রমিক আহমেদ রেজার মামা মো. ফরহাদের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তিনি বলেন, ‘মরদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া নিয়ে ঝামেলায় আছি। আমাদের পক্ষ থেকে এখনও মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়নি। নিহত অন্য শ্রমিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।’

গণ্ডামারা এলাকার মো. মামুন নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘পুলিশ ধর-পাকড় করছে। অনেক শ্রমিক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আমরা জীবন-জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর