হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
১৮ এপ্রিল রোববার বেলা ২টা ২০ মিনিটে শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শাহিনুর রহমান এ আদেশ দেন।
অপর আসামি হলেন হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তের স্বার্থে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক শাহিনুর রহমান এ আদেশ দেন।
এদিন তাদের পক্ষের আইনজীবী তৌফিক শাহরিয়ারসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে এ জামিনের বিরোধিতা করে আদালতের পল্টন থানার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেয়।
১৭ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে জুনায়েদ হাবিবকে ভাটারা থানার বারিধারা মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পল্টন থানায় নাশকতা মামলা এবং ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে নাশকতার মামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে জুনায়েদ হাবিবকে।
সে কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলাম।
এ নিয়ে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকাসহ চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এরই মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হকসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।