কুমিল্লা নগরীর একটি মাদ্রাসা থেকে শিশুশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ছয় দিন পরও মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
সংরাইশ পাকপাঞ্জতান মুজিবীয়া সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে ১১ এপ্রিল সাত বছর বয়সী সাব্বির হোসেন সজীবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় মাদ্রাসার দুইজন শিক্ষককে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা নগরীর চকবাজার ফাঁড়ির পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা এখনও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাইনি। গত বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল আদালতে আটক দুই শিক্ষকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম। আবেদন অনুমোদন হয়নি। রোববার শুনানি আছে। আমরা আবারও রিমান্ডের আবেদন করব।’
এদিকে মাদ্রাসায় অবস্থানরত কোনো শিক্ষার্থী কিংবা আশপাশের কেউ বলতে পারছে না কীভাবে সজীবের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বেশ ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত সজীবের মা ফুলমতি বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার পোলারে মাইরালাইছে। আইজ ছয় দিন গেল। কেডা আমার পোলারে মারছে পুলিশ বাইর করত পারতাছে না। আমি পোলার খুনিরার আটক ও বিচার চাই।’
১১ এপ্রিল রাত ৮টায় নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ড সংরাইশ পাকপাঞ্জতান মুজিবীয়া সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় লেপ-তোশকের স্তূপ থেকে সজীবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সজীবের মা ফুলমতি বেগম হত্যা মামলা করেছেন।