শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দুই দিন রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার মাদানীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার গাজীপুর আদালতে আবেদন করা হয়। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, বিতর্কিত শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল ফোনে পর্নো ভিডিও পেয়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এ জন্য তার বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পর্নোগ্রাফি আইনের ধারা যুক্ত হয়েছে।
রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গত ৮ এপ্রিল রাত সাড়ে তিনটার দিকে মাদানীকে নেত্রকোণার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একই আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
খর্বকায় ও শিশুতোষ কণ্ঠের অধিকারী হওয়ায় মাদানীকে অনেকে ‘শিশুবক্তা’ বলে মনে করলেও তিনি নিজে দাবি করেছেন, তিনি মোটেও শিশু নন। তার বয়স ২৬ বছর।
এর আগে ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছিল রমনা থানার পুলিশ। সেখানে তিনি মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন, আর এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেবেন না।
সে কথা না রাখার কারণ জানতে চাইলে মাদানী র্যাবকে জানিয়েছিলেন, পুলিশের আটকের বিষয়টি তিনি ‘সিরিয়াসলি’ নেননি। ভেবেছিলেন, জনপ্রিয়তার কারণে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে না।