বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জঙ্গি নেতার স্বজন কৃষক লীগে: মাঠে তদন্ত কমিটি

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ২২:১০

নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তদন্ত কমিটির প্রধান কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি শরীফ আশরাফ আলী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দেয়া হবে। এ বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত দেবেন।

মুফতি হান্নানের স্বজন মুন্সি মাহফুজ হাসনাত কামরুল কৃষক লীগের কমিটিতে কীভাবে, সেটি তদন্তে গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাদা কথা বলেন কমিটির সদস্যরা।

এ সময় কোটালীপাড়ার ১১ ইউনিয়ন কমিটির মধ্যে ৮ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবীর, বর্তমান পৌর মেয়র শেখ কামাল হোসেন, সাবেক পৌর মেয়র অহেদুল ইসলাম হাজরা, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ লুৎফর রহমান গঞ্জর, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ আরও অনেকে।

নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তদন্ত কমিটির প্রধান কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি শরীফ আশরাফ আলী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দেয়া হবে। এ বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত দেবেন।

গত ৪ এপ্রিল মুফতি হান্নানের খালাত ভাই মুন্সি মাহফুজ হাসানাত কামরুলকে সভাপতি করে গঠন করা হয় কৃষক লীগের ৭১ সদস্যের কোটালীপাড়া কমিটি।

এর পর মাহফুজ হান্নান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষমতাসীন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। পরে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০০ সালের ২১ জুলাই কোটালীপাড়ায় জনসভার আগে তার জনসভাস্থলের আশেপাশে ৭৬ কেজি ও ৪০ কেজি ওজনের দুটি বোমা পুঁতে রাখে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ।

স্থানীয় দোকানি বদিউজ্জামান সরদার পুঁতে রাখা বোমা ঘটনাচক্রে খুঁজে পেলে শুরু হয় তোলপাড়। সেনাবাহিনীর একটি দল বোমা দুটি উদ্ধার করে। পরে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়।

এই ঘটনায় করা এক মামলায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ১০ জনের এবং আরেক মামলায় ২৩ মার্চ এই ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে বিচারিক আদালত। তবে সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানের আগেই ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এই রায় ঘোষণার কারণে দুই দশক আগে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনাটি এখনও তাজা গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

তদন্ত কমিটিতে শরীফ আশরাফ ছাড়াও আছেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি এম এ ওয়াদুদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী ও সদস্য সিরাজুল ইসলাম।

কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

যাকে নিয়ে বিতর্ক, সেই মুন্সি মাহফুজ হাসনাত কামরুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জঙ্গি নেতা হান্নান মুন্সি আমার খালাত ভাই। তবে তারা স্বাধীনতাবিরোধী। তাই তাদের সঙ্গে আমাদের ৫০ বছর ধরে কোনো সম্পর্ক নেই। আমি ঢাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।’

এ বিভাগের আরো খবর