বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রয়্যাল রিসোর্টে হামলা: হেফাজতের চার নেতা রিমান্ডে

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৩৫

র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল জানান, রয়্যাল রিসোর্টে হামলার দিন সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের মাইকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে হামলার নেতৃত্ব দেন ইমাম মাওলানা ইকবাল। বাকি আসামিরাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে হামলা, ভাঙচুর এবং মহাসড়কে নাশকতার ঘটনায় পুলিশের দুই মামলার প্রধান আসামি মাওলানা ইকবালসহ হেফাজতে ইসলামের চার নেতাকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আহম্মেদ হুমায়ুন কবীরের আদালতে পুলিশ তাদের সাতদিনের রিমান্ড চায়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, রয়্যাল রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় এক দিন এবং মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার মামলায় তাদের দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন বিচারক।

রিমান্ডে নেয়া চার নেতা হলেন হেফাজতের সোনারগাঁ থানা শাখা কমিটির সহসভাপতি মাওলানা ইকবাল, সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান শিবলী ও কার্যকরী সদস্য মোয়াজ্জেম।

রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকার জুরাইন রেলগেট বাজার মসজিদের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সোমবার দুপুরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, গত ৩ এপ্রিল স্থানীয় জনতার হাতে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারীসহ রয়্যাল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার পর রিসোর্টটিতে ভাঙচুরসহ এলাকায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। সোনারগাঁ এলাকার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাপক সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম মাওলানা ইকবাল মসজিদের মাইকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে হামলার নেতৃত্ব দেন। অপর আসামিরাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

৩ এপ্রিল রিসোর্টটিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন। পরে রিসোর্টটিতে হামলায় চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান হেফাজতকর্মীরা।

রিসোর্ট ছাড়াও ভাঙচুর করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বাজারের দোকানপাট, স্থানীয় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘর। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও চলে তাদের তাণ্ডব। গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ওই ঘটনায় হেফাজত, বিএনপি, জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে সাতটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর