গাইবান্ধায় পুলিশের হাতে আটক আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মাসুদের বাড়ি থেকে শনিবার এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে আটক করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির স্বজনরা অভিযোগ করেন, ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যা করেছেন মাসুদ।
জেলা আওয়ামী লীগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শনিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রকাশিত গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার বাসায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে স্বপদ থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা মাসুদ রানাকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
মাসুদ রানা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক।
সদর উপজেলার বল্লমঝার ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে তার বাড়ি থেকে শনিবার দুপুরে জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হাসান আলীর বাড়ি জেলা শহরের থানাপাড়া এলাকায়। তিনি আফজাল সুজের ডিলার ছিলেন। শহরের স্টেশন রোডে তার দোকান আছে।
পরিবারের অভিযোগ, এক মাস আগে হাসান লালমনিরহাট যান। গত ৫ মার্চ তাকে সেখান থেকে অপহরণ করেন রানা। এরপর বিভিন্ন জায়গায় তাকে আটক রেখে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। এ ছাড়া তার পরিবারের কাছেও পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয় লোকজন রানাকে গণপিটুনি দেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রানাকে আটক করে।
তাদের অভিযোগ, রানা সুদের ব্যবসা করতেন। সুদ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই তিনি হাসানকে অপহরণ করেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সকালের দিকে হাসানের মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। এতে লেখা ছিল, তার মৃত্যুর জন্য রানা দায়ী থাকবে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই মাসুদ রানাসহ তিনজনের নামে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান নিহত ব্যক্তির স্ত্রী বিথী বেগম। রোববার দুপুর পর্যন্ত সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি।