বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজতের তাণ্ডব: বাখরাবাদে হামলার ‘উসকানিদাতা’ গ্রেপ্তার

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:০৮

‘গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালানো হয়। সেদিন শামীম তার ফেসবুকে সদর উপজেলার ঘাটুরার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিসে হামলার অনুরোধ জানান। এর পরপরই বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিসে ব্যাপক হামলা চালান হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। তিনি নিজেও হামলায় অংশ নেন।’

হেফাজতে ইসলামের হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবে গ্যাস বিতরণ কোম্পানি বাখরাবাদে হামলাকারী ও উসকানিদাতা সন্দেহে একজনকে আটকের কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার নাম মোহাম্মদ শামীম।

শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরেক গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস ফিল্ডে কর্মরত।

পলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালানো হয়। সেদিন শামীম তার ফেসবুকে সদর উপজেলার ঘাটুরার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিসে হামলার অনুরোধ জানান।

‘এরপর পরই বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিসে ব্যাপক হামলা চালান হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। তিনি নিজেও হামলায় অংশ নেন।’

হেফাজত সমর্থকরা সেদিন গ্যাস বিতরণ সংস্থার অফিসটিতে পেট্রলবোমা হামলা চালান। এতে ওই অফিসে থাকা ১০ থেকে ১২টি গাড়ি পুড়ে যায়। ফলে ওই দিন রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গ্যাস সংযোগ বন্ধ ছিল।

এই ঘটনায় কোম্পানিটি মামলা করে।

হেফাজতের সমর্থকেরা সেদিন এই অফিস ছাড়াও জেলা পরিষদ, পৌরসভা কার্যালয়, ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সব পুড়িয়ে দেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয়

আগুন দেয়া হয়েছে সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন ও আলাউদ্দিন মিলনায়তনে, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর। হামলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে। ভাঙচুরের পর আগুন দেয়া হয় বঙ্গবন্ধুর ‍ম্যুরাল, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলকে।

ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুনের কার্যালয়। আরও বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় দেয়া হয়েছে আগুন।

তাণ্ডবের এসব ঘটনায় ৪৮টি মামলায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সদর মডেল থানায় ৪৩টি, আশুগঞ্জ থানায় তিনটি ও সরাইল থানায় দুইটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ২৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত হিসেবে ৩৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আসামি ধরতে জেলা শহরসহ সদর উপজেলার সুহিলপুর ও বুধল ইউনিয়নে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছেন সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ‘পুলিশ ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে।

‘যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অপরাধী ছাড়া অন্যদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর