বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজতের তাণ্ডব: পুলিশের ছিনিয়ে নেয়া গুলি মিষ্টির দোকানে

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২১ ২০:৫৩

গত ২৭ মার্চ বিকেলে নন্দনপুর এলাকায় সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ২০টি গুলি ছিনিয়ে নেয় হেফাজত সমর্থকরা। প্রায় দুই সপ্তাহ পর সেই গুলি উদ্ধার হলো মিষ্টির দোকান থেকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুইজনকে। হেফাজতের তাণ্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে আরও দুইজন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে হামলার ঘটনায় পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ২০টি গুলি উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।

শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজারের এক মিষ্টির দোকানের ছাদ থেকে গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় দুইজন এবং হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় মামলায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশের কাছ থেকে গুলি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় করা মামলার দুই আসামি হলেন সুহিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কেন্দুবাড়ির আরব আলী ও সুহিলপুর গ্রামের মনির মিয়া।

হেফাজতের তাণ্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার দুইজন হলেন সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকার জাকির হোসেন ও ভাদুঘর এলাকার মোহাম্মদ সুমন।

পুলিশ জানায়, গত ২৭ মার্চ বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশের দুই সদস্য সিএনজি অটোরিকশায় করে আসামি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আসছিলেন।

সে সময় সদর উপজেলার নন্দনপুরে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছিল। হেফাজত সমর্থকরা অটোরিকশাটি আটকে পুলিশ সদস্যদের মারধর করে। তারা পুলিশ সদস্য তুহিন ইসলামের কাছ থেকে রাইফেলের গুলি ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের নায়েক মো. মহিউদ্দিন অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, ‘মৌলভীবাজারের জেলা পুলিশের দুজন সদস্য আসামি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে তাদের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। এ সময় তারা একজন পুলিশ সদস্যের কোমরে রাখা ২০ রাউন্ড গুলি টান দিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা করে।

‘বিষয়টি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে একজনকে গ্রেপ্তার করি। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গুলিগুলো উদ্ধার করি।’

এ বিভাগের আরো খবর