বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সালথায় সহিংসতা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি বিএনপির

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৫২

বিএনপি নেতা শামা ওবায়েদের দাবি, ৫ এপ্রিল রাতে সালথার ঘটনা ছিল গ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত। গ্রামবাসী ইমোশনাল হয়ে এ ঘটনা ঘটান। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এটি পরিকল্পিত এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করছেন।

ফরিদপুরের সালথায় সহিংসতার ঘটনায় ‘মিথ্যা মামলায়’ দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে জানিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে বিএনপি।

শনিবার দুপুরে শহরের চকবাজারে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘৫ এপ্রিল রাতে সালথার ঘটনা ছিল গ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত। এটি ঘটা উচিত ছিল না। গ্রামবাসীরা মনের দুঃখে, ইমোশনাল হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত ছিল।

‘কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বলছেন, এটি পরিকল্পিত এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা এর সাথে জড়িত। এটি একেবারেই মিথ্যা কথা। আমরা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’

লকডাউন কার্যকর করার চেষ্টায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ৮টা থেকে তিন ঘণ্টা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা।

সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: নিউজবাংলা

‘পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে’ এ-জাতীয় গুজব ছড়িয়ে সালথায় লোক জড়ো করা হয়। সন্ধ্যার পর হাজার হাজার জনতা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে। একপর্যায়ে উপজেলা পরিষদ, থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

ওই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ সদস্যসহ আহত হয় ২০ জন। আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুবায়ের হোসেন ও মিরান মোল্যা নামে দুই যুবকের মৃত্যু হয়।

সালথা পরিদর্শনে গিয়ে সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এ ঘটনায় হেফাজতের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িত বলে অভিযোগ করেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘হেফাজতের আড়ালে বিএনপি এ কাজ করেছে বলে তারা বলছেন। এই হেফাজতকে তো আওয়ামী লীগই লালনপালন করেছে।

‘সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ও গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্ত্বেও যদি হেফাজত সারাদেশে এত তাণ্ডব চালাতে পারে, তাহলে সকলের কাছে এটি পরিষ্কার যে, হেফাজতকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে ও লালনপালন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার রাতে পুলিশ যেই চিত্রটি দিয়েছিল, পরের দিন মামলায় তা পুরাই উল্টো গেল।’

বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসুস্থতাজনিত কারণে অনুপস্থিতিতে তার ছেলের নির্দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এসব মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোদাররেস আলী ঈসা, সাবেক সহসভাপতি মোস্তাক হোসেন বাবলু, শহর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এমটি আখতার টুটুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর