বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আঘাত এসেছে, হেফাজতকে প্রতিঘাত: হানিফ

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:১৪

‘বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত সারা দেশে জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে… এখন থেকে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে নির্দেশ দিচ্ছি, সরকারের পাশে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করার।’

ধর্মের নামে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত তাণ্ডব চালাচ্ছে মন্তব্য করে তাদের দমনে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, আঘাত এসেছে, এখন প্রতিঘাত করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে বুধবার সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন ‘বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত সারা দেশে জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে… এখন থেকে আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে নির্দেশ দিচ্ছি, সরকারের পাশে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আঘাত এসেছে, প্রতিঘাত করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ধর্মের নামে হেফাজত অধর্মের কাজ করছে। রিসোর্টে নারী নিয়ে ধরা পড়েছে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক।

‘তাকে রিসোর্ট থেকে ছাড়ায়ে নিয়ে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা যেভাবে আওয়ামী লীগ অফিস এবং আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে, আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের মামলা করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হেফাজত-বিএনপি-জামায়াতের যেসব সন্ত্রাসী এসব ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করেছে, তাদের সুনির্দিষ্ট নাম ঠিকানা সংগ্রহ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আসামি করতে হবে।

‘যেসব ধর্ম ব্যবসায়ী ধর্মের নামে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এসব ধর্ম ব্যবসায়ীর হাত থেকে ধর্মকে রক্ষা করতে হবে।’

মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে গিয়ে অবরুদ্ধ হন গত শনিবার। সে সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ফেসবুকে লাইভ করলে তোলপাড় হয়।

মামুনুল সে সময় যেসব তথ্য দিয়েছেন, পরে তার বেশির ভাগের সত্যতা মেলেনি।

স্থানীয় লোকজনের জেরার মুখে সঙ্গীনিকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে বলেন তার নাম আমেনা তাইয়্যেবা। দাবি করেন, তার শ্বশুরের নাম জাহিদুল ইসলাম, শ্বশুরবাড়ি খুলনায়।

তবে সেই নারী পরে জানান তার নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা, বাবার নাম অলিয়র রহমান, গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়।

এই ঘটনার পরে ফাঁস হওয়া বিভিন্ন টেলিফোনালাপে মামুনুলের বিয়ের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার চার সন্তানের জননী স্ত্রী ওই দিন সন্ধ্যায় ছেলেদের নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা ছেড়ে যান। তিনি এখনও ফেরেননি।

এসব ঘটনায় মামুনুল যখন বেকায়দায় তখন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা মসজিদে মাইকিং করে জড়ো হয়ে একযোগে হামলা করেন রিসোর্টে। স্থাপনাটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুরও করেন।

এখানেই থেমে থাকেননি শত শত হেফজাত কর্মী। ক্ষমতাসীন দল ও তার সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় কার্যালয়েও হামলা হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় সেগুলো। হামলা হয় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িঘরে।

সেদিন হেফাজতের এই সন্ত্রাসী মনোভাব দেখা গেছে সুনামগঞ্জের ছাতকে ও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানেও। সেখানেও ক্ষমতাসীন দলের কার্যালয় আক্রান্ত হয়েছে।

পরে জাতীয় সংসদে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তিনি হেফাজতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এসব ঘটনা ঘটতে থাকলে যদি তাদের দলের লোকজন কওমি মাদ্রাসায় আক্রমণ করে, তখন পরিস্থিতি তারা সামলাতে পারবে কি না।

এর আগেও হেফাজত কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাসভবন ও কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। আর ক্ষমতাসীন দলের নেতারা হেফাজতের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর