নারায়ণগঞ্জে যে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবিতে ৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে, সেই জাহাজটি দুই দিনেও আটক করা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা জাহাজটি আটকের চেষ্টা করছেন।
রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় লাইটারেজ জাহাজ এসকে থ্রির ধাক্কায় লঞ্চডুবির দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ধারণা করছে, জাহাজটি সমদ্রের দিকে গেছে। নৌ পুলিশের সদস্যরা খোঁজ করছে একে বের করার জন্য।
এই ঘটনায় কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন তারা।
তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা নিউজ বাংলাকে বলেন, ‘কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। আমরা ঘটনার বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা করছি। বিশেষ করে এসকে থ্রি নামের জাহাটিকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ ঘটনার তদন্ত আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। এই কমিটি আগামী ৮ এপ্রিল কয়লা ঘাট এলাকায় গণশুনানি করবে বলে জানানো হয়েছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় তদন্ত কমিটির আহবায়ক যুগ্ম সচিব আবদুল সাক্তার শেখ বলেন, ‘ঘটনার বিভিন্ন তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করার জন্য এই গণশুনানি হবে।’