নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারের পর এর ভেতর থেকে আরও ২২ মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এ নিয়ে মোট উদ্ধার হলো ২৭ জনের মরদেহ।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারকর্মীদের ১৮ ঘণ্টার চেষ্টায় সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় এমভি হাবিব আল হাসান নামের লঞ্চটি।
এরপর লঞ্চের ভেতর থেকে একে একে বের করে আনা হয় ২২টি মরদেহ।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন নিউজবাংলাকে জানান, এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে।
শীতলক্ষ্যা নদীতে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কায় এই লঞ্চটি ডুবে যায়।
নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওনা দেয়। কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছালে এসকে থ্রি নামে লাইটারেজ জাহাজ নৌযানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তলিয়ে যায় লঞ্চটি... ডুবে যাওয়ার সময় লঞ্চে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিল।’
রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক নিউজবাংলাকে জানান, রাতে অন্ধকারের জন্য বিরতি দিয়ে সোমবার ভোর থেকে আবার শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান।
স্বজনদের খোঁজে রাত থেকেই নদীর পাড়ে ভিড় করে আছে অনেক পরিবার।
লঞ্চের নিচতলা থেকে বেঁচে ফেরা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজটি পেছন থেকে লঞ্চটি টেনে সামনের দিকে নিয়ে যায়। লঞ্চের উপরে যারা ছিল তারা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। কিন্তু যারা ভেতরে ছিল, বের হতে পারে নাই।’
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেক পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। আহত ব্যক্তিদের হাসপতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।