বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লঞ্চডুবি: শীতলক্ষ্যার তীরে আহাজারি

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২১ ১১:১০

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক নিউজবাংলাকে জানান, রাতে অন্ধকারের জন্য বিরতি দিয়ে ভোর থেকে আবার শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান। রোববার রাত পর্যন্ত উদ্ধার পাঁচটি মরদেহের মধ্যে চারটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আছেন ২৬ জন।

তাদের উদ্ধারে শীতলক্ষ্যার সৈয়দপুর কয়লা ঘাট এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ-এর ডুবুরিরা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক নিউজবাংলাকে জানান, রাতে অন্ধকারের জন্য বিরতি দিয়ে ভোর থেকে আবার শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান। রোববার রাত পর্যন্ত উদ্ধার পাঁচটি মরদেহের মধ্যে চারটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত নিখোঁজের তালিকায় ২৬ জন রয়েছে। তবে লঞ্চডুবির সময় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠেছে। তাই আশপাশের এলাকায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

স্বজনদের খোঁজে রাত থেকেই নদীর পাড়ে ভিড় করে আছে অনেক পরিবার।

ভাবি ফাকিনা বেগম, ভাতিজি বিথি ও ১১ মাসের নাতিকে খুঁজতে মুন্সিগঞ্জ থেকে এসেছেন কৃষক মিঠু মাঝি। তিনি বলেন, ‘তারা নারায়ণগঞ্জে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাইতে আইছিল। যাওয়ার সময় এই ঘটনার শিকার হইছে। তাদের নিখোঁজের খবর শুইন্না বড় ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই তারে মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করছি।’

মা-বাবাকে খুঁজতে এসেছেন পাঁচ বোন। এর মধ্যে একজন বলেন, ‘বাবা-মা ডাক্তার দেখাইতে নারায়ণগঞ্জে আইছিল। তারা লঞ্চের নিচতলায় আছিল। লঞ্চ ডুবার সময় আমাগো গ্রামের একজন সাঁতরায় পারে গেছে। পরে তিনি গ্রামে ফোন কইরা জানাইছে ঘটনা। আমরা এখনও মা-বাবারে খুঁইজা পাই নাই।’

দেড় বছরের ছেলেকে খুঁজছেন মো. সোহান। তিনি বলেন, ‘আমার শিশুসন্তান আজমীর তার দাদার সঙ্গে নানির বাড়িতে যাচ্ছিল। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর থেকে আমার ছেলে আর বাবা নিখোঁজ, তাদের কোথাও পাচ্ছি না।’

লঞ্চের নিচতলা থেকে বেঁচে ফেরা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজটি পেছন থেকে লঞ্চটি টেনে সামনের দিকে নিয়ে যায়। লঞ্চের উপরে যারা ছিল তারা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। কিন্তু যারা ভেতরে ছিল, বের হতে পারে নাই।’

শীতলক্ষ্যা নদীতে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কায় এমভি হাবিব আল হাসান নামের লঞ্চটি ডুবে যায়।

নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন,‌ ‌‘সন্ধ্যায় লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওনা দেয়। কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছালে এসকে থ্রি নামে লাইটারেজ জাহাজ নৌযানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তলিয়ে যায় লঞ্চটি... ডুবে যাওয়ার সময় লঞ্চে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিল।’

রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

এ বিভাগের আরো খবর