নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিসোর্ট থেকে নারীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে আটকের পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হেফাজত কর্মীদের তাণ্ডবের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন রোববার সকালে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক থেকে দেড় শ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন।
জামাল নিউজবাংলাকে জানান, গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, পুলিশ বক্স ও যানবাহনে ভাঙচুর এবং আগুন দেয়ার অভিযোগে এই মামলা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি আসামিদের নাম জানাননি।
সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ওই নারীর সঙ্গে অবস্থান নেয়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন।
সে সময় তাদের অনেকেই ফেসবুকে লাইভে এসে মামুনুল ও ওই নারীকে রিসোর্টে আসার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের প্রশ্নের মুখে মামুনুল বলতে থাকেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে শরিয়ত মোতাবেক তারা বিয়ে করেছেন। এখন রিসোর্টে ঘুরতে এসেছেন।
এরপর পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর মামুনুল ও তার সঙ্গে থাকা নারীকে ছেড়ে দেয়। এরই মধ্যে ফেসবুক লাইভ দেখে স্থানীয় হেফাজত কর্মী-সমর্থকরা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুলকে বের করে নেন।
সেখান থেকে বের হয়ে মামুনুল ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ওই নারী তার এক বন্ধুর সাবেক স্ত্রী। ওই ব্যক্তির সঙ্গে ডিভোর্সের পর তাকে তিনি বিয়ে করেছেন।
রিসোর্টে মামুনুলের সঙ্গে ওই নারীকে পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলার হেফাজত সমর্থকরা ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভে নামেন।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন হেফাজত সমর্থকরা। এতে সড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
সড়ক অবরোধের পাশাপাশি জামালদি বাসস্ট্যান্ডে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি বক্স, কয়েকটি যানবাহন ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালান হেফাজত সমর্থকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামুনুল হককে আটকের খবরে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে দুই থেকে তিন শ হেফাজত সমর্থক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের জামালদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় তারা জামালদি হাইওয়ে পুলিশ বক্স, কয়েকটি দোকান ও যানবাহন ভাঙচুর করেন।
প্রায় ৩০ মিনিট পর পুলিশ হেফাজত কর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।