বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘স্বামীর দেয়া আগুনে’ দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২১ ২০:০৪

৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া রুমি আক্তারকে ২৩ মার্চ নেয়া হয় শ্রীমঙ্গলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরদিন প্রথমে মৌলভীবাজার হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা ২৫ মার্চ রুমিকে ঢাকায় পাঠায়।

১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হার মানলেন মৌলভীবাজারের গৃহবধূ রুমি আক্তার। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শনিবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে মারা যান তিনি।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক।

রুমিকে ২৩ মার্চ রাতে ভর্তি করা হয় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্সে। চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানের চিকিৎসকেরা ২৫ মার্চ রুমিকে ঢাকায় পাঠায়।

এই ঘটনায় স্বামী আনোয়ার, তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী রাহেলা বেগম ও শ্বশুর-শাশুড়িকে অভিযুক্ত করে ২৬ মার্চ মামলা করেন রুমির ভাই আজহারুল ইসলাম। এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আনোয়ার ও তার বাবা ইউসুফ মিয়া। ঘটনার পর রুমির শিশুপুত্রকে নিয়ে পলাতক আছেন শাশুড়ি ও আনোয়ারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখাঁন এলাকার নোয়াগাঁও গ্রামের রুমি আক্তারের বিয়ে হয় ২০২০ সালের মার্চে হামিদপুর গ্রামের আনোয়ারের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার দেয়া নিয়ে শুরু হয় কলহ।

আসবাবপত্র নিয়েও ক্ষান্ত হননি আনোয়ার। চাপ দিতে থাকেন মোটরসাইকেল ও বিদেশ যাওয়ার টাকার জন্য।

রুমির পরিবারের কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানান, স্বামী আনোয়ার, তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে পরিকল্পিতভাবে যৌতুকের জন্য তার শরীরে আগুন ও গরম পানি ঢেলে দেয়।

গ্রেপ্তার রুমির স্বামী আনোয়ার ও শ্বশুর। ছবি: নিউজবাংলা

কলহ ও লেনদেনের বিষয় স্বীকার করেছেন আনোয়ারের সৎ মা জয়তুন বেগম ও চাচা ছায়েদ আলী। জয়তুন বেগম নিউজবাংলাকে জানান, কিছুদিন আগে আসবাবপত্র নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।

‘একটি ছেলে হওয়ার পর শোয়ার জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়ে। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আনোয়ারের কথা কাটাকাটি হয়। তবে রুমি কীভাবে দগ্ধ হয়েছে তা জানি না। রুমি তার নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে থাকতে পারে।’

এ ঘটনায় ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘যৌতুকের জন্য একটি মেয়েকে নির্যাতন করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হবে, তা মেনে নেয়া যায় না। এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলা হয়েছে। স্বামী আনোয়ার ও শ্বশুর ইউসুফ মিয়াকে সিলেট হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়েটিকে আগুন বা গরম পানি ঢেলে হত্যা করেছে। অভিযুক্ত সবাইকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর