বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়র সাদিকের প্রতি কৃতজ্ঞ পলাতক আসামি

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ২২:৩১

পলাতক আসামি সোহান ফেসবুকে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ প্রাণপ্রিয় অভিভাবক মাননীয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ভাই।’

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন নগরীর টপ টেন শোরুমে হামলা ও লুটপাট মামলার পলাতক আসামি ছাত্রলীগকর্মী মাজহারুল ইসলাম সোহান।

মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন ছাত্রলীগকর্মী সোহান।

ফেসবুকে সোহান লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ প্রাণপ্রিয় অভিভাবক মাননীয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ভাই।’

যদিও পোস্টটি বুধবার আর দেখা যায়নি।

এ ছাড়া নিজের জন্মদিন উপলক্ষে সমর্থকদের নানা পোস্টের রিপ্লাই দিতেও দেখা গেছে এ আসামিকে।

সোহানের দেয়া ফেসবুক পোস্ট

বরিশালের টপ টেন শোরুমে ৭ মার্চ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলায় ২১ নম্বর আসামি সোহান।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আল আমিনকে আত্মসমর্পণ করান সোহান। তবে কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সে জন্য আল আমিনের নামের সঙ্গে সোহান যোগ করে দেয়া হয়েছিল। এ মামলায় ২২ দিন কারাগারে ছিলেন আল আমিন।

‘নকল’ আসামি নিয়ে নিউজবাংলায় গত ১৩ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। এরপরই আত্মগোপনে চলে যান মাজহারুল ইসলাম সোহান।

ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ করা হয়। এতদিন আত্মগোপনে থাকার পর তিন-চার দিন ধরে আবারও ফেসবুকে সরব হন সোহান। বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টও করেন তিনি।

বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অপরাধ করে আইনের আওতায় না আসার উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে এই টপ টেন কেস। যেখানে সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মাজহারুল ইসলাম সোহানকে, সেখানে কেন এখনও গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। পুলিশকে কী প্রক্রিয়ায় কনভিন্স করেছেন সোহান!

‘ফেসবুকে দীর্ঘদিন ডিঅ্যাকটিভ থাকলেও তিনি আবার অ্যাকটিভ। তা ছাড়া তিনি তার পরিবর্তে নকল আসামি জেলে পাঠিয়েছেন। এরপরও কার ইশারায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন না।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘শুনেছি এক ছাত্রলীগ নেতাকে প্রতি মাসে ইন্টারনেট ব্যবসার পার্সেন্টেজ দিয়ে থাকেন এই সোহান। সেই কারণেই কি গ্রেপ্তার হচ্ছেন না? আবার কত সাহস, আমাদের মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।’

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ অনেক ডিজিটাল। কে কোথায় বসে ফেসবুক ব্যবহার করছে, সেই লোকেশন বের করা পুলিশের পক্ষে অসাধ্য বিষয় নয়। টপ টেন শোরুমে হামলার ঘটনার ২৫ দিন পার হলেও ডাবল অপরাধ করা এই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে না পারা পুলিশের ব্যর্থতা বলে মনে করছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক আশরাফুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথেই তদন্ত চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর